যেখানে শুধু থাকবে শৃঙ্খল আর শৃঙ্খল, সৌন্দর্যের প্রাচুর্য্য। প্রতিটা মানুষের থাকবে সুন্দর আচরণ, একজন আরেকজনের বিপদে পাশে থাকবে, কেউ কারো বিমুখী হবে না। থাকবে না কারো কোন অহংকার।
থাকবে না কোনো ভালোবাসার অভাব। ভালোবাসার আবরণে সকলে মুড়ে থাকবে, যেমনটা প্রকৃতি করে থাকে। যখন পশু-পাখির খুব ক্ষুধা লাগে তখন গাছ তাকে ফল দেয়, নদী-নালা তাদের পিপাসা মেটায়। এ যেন প্রকৃতিতে রঙের মেলার আসর।
মানুষের প্রযোজনেও প্রকৃতি নিজের জীবনকে অতি সহজেই উৎসর্গ করে দেয়, কিন্তু আমরা মানুষের বেলা ঘটে ঠিক তার বিপরীত। আমরা আমাদের জীবনে কী এটা ভেবে দেখেছি, যে আমাদের চোখের সামনেই মৃত্যুবরণ করছে আমাদের প্রিয় প্রকৃতি, খাবারের অভাবে মারা যাচ্ছে পশু-পাখি।
ধ্বংস হচ্ছে আমাদের পরিবেশ। এইতো আমারই চোখের সামনে দেখা কিছু লোক তার কবুতর, মুরগি হত্যার প্রাণ শত শত প্রাণ নিয়েও সুদ নিতে পারে নি। যার জন্য মরতে হয়েছে অনেক অসহায় বিড়াল।
এই বিড়াল গুলো কি কখনো নিজে রোজগার করে খেতে পারে নাকি কারো কাছে হাত পেতে চাইতে পারে। তারা তো আমাদের টা চুরি করে খাবেই তাতেই কি আমাদের তাদের হত্যা করতে হবে একটু তাড়িয়ে দিলেই তো হয়ে যেতো।
আরো পড়ুন: সুন্দর জিনিস দেখতেও ভালো লাগে সত্যিই কি তাই!
তোমার কাছে কিছু প্রশ্ন তুমি কি কখনো কোন বিড়াল কে একটা মাছের ডোমা দিয়েছো, নাকি কখনো কোন কাককে এক টুকরো রুটি দিয়েছো। তুমি তোমার জীবনে যতগুলো তাজা ফুলের সুভাস নিয়েছো তুমি কি কখনো ভেবে দেখেছো সেই ফুল গাছটির কথা।
তুমি যে ঘরে থাকো তুমি কি কখনো সেই ভূমির কথা মাথায় এনেছো যে তোমার পূর্ব পুরুষ থেকে ভবিষ্যৎ পযর্ন্ত তোমাদের দেয়া কত আঘাত মুখ বুঝে সহ্য করছে। এখন তুমি বলতে পারো মাটির আবার প্রাণ আছে? আবার কেমন কথা।
সত্যি বলতে মাটির প্রাণ আছে কিনা সেটা আমি নিজেও জানি না তবে মাটি একটা জড় পদার্থ তবে এই মাটি থেকে বীজ শোষণ করে জন্ম নেয় হাজার হাজার তরুলতা।
আরো পড়ুন: জীবন কিভাবে সুন্দর করা যায়
চলো বদলে ফেলি আমাদের নিজেদের কে। প্রতিদির গাছ লাগাই, সুন্দর করে সাজাই আমাদের পৃথিবীকে। যেখানে সেখানে প্রসাব না করি, যেখানে সেখানে পলিথিন না ফেলি। মোট কথা পরিবেশ কে অত্যাচার নয় ভালোবেসে গড়ে তুলি আমাদের ছোট ছোট সোনা-মনিদের মতো।
এবার পোষ্টাটা শেয়ার করে তোমার প্রিয় মানুষকে জানিয়ে দাও, সেও যেন একটা সুন্দর পৃথিবী গড়তে সকলের সাথে হাতে হাত রেখে কাজ করতে পারে।