আমাদের একটা সুন্দর শালিক পাখি ছিল, তাকে আমি রোজরোজ ঘুম থেকে জাগাতাম; খাবার দিতাম; গোছল করার জন্য এক বাটি পানি দিতাম। কিচিমিচির শব্দ করে সে গোছল করত। আমাদের শালিকটা শীতের সময় এমন একটা দিন নয় সে গোছল ছাড়া থাকে নি।
শীতের সময় এমনিতে আমি মাঝে মাঝে গোছল করি না কিন্তু এই শালিকটি শত ঠাণ্ডা আর কুয়াশাকে উপেক্ষা করেও গোছল করেছে। প্রতিদিন আমাদের সাথেই সময় কাটাতো।
ওহ্ সরি, শালিকটাকে আমরা কি করে পোষ করলাম তা বলা হয়নি। একদিন শালিকটি আমাদের বাসার ভেতরে উড়ে আসে আমরা তাকে ক্ষত অবস্থায় ভিজা শরীরের পাই। তারপর দেখি সে উড়তে পারছে না।
আরো পড়ুন: সুন্দর জিনিস দেখতেও ভালো লাগে সত্যিই কি তাই!
তাই ভাবলাম ওকে যদি আমরা এই অবস্থায় ছেড়ে দেই তাহলে ওর অবস্থা আরো বেহাল হবে তার মানে সে নিশ্চিত মারা যাবে তাই তার জন্য একটা 250 টাকা দিয়ে একটা খাচা (বি:দ্র: চন্দ্রবিন্দু লিখতে পারলাম না কিংবোর্ড়ের বাটন একটু নষ্ট।) কিনে নিয়ে আসে তারপর সেখান থেকে আস্তে আস্তে আমাদের ভাব জমে, বিনিময় হয় অনেক কথা।
শালিক কিছু দিন থাকার পর তার সাথে আরেকটা শালিক দেখা করতে আসে আমরা ভাবছিলাম ওর সাথী। কিন্তু দুঃখের বিষয় আমরা তো ভেবে সব সঠিক বলতে পারি না যদি না কিছু শুনতে পাই।
আবার কিছু দিন পর আরেকটা শালিক ক্ষতাবস্তায় আবার আসে তাকেও তার সাথে রাখি, কিন্তু তাদের মিলন হল না, কেবলেই দ্বন্দ্ব আর দ্বন্দ্ব। শেষে আমাদের প্রথম শালিক পাখিটির একটা চোখ নষ্ট করে দিয়ে যায় ঐ দ্বিতীয় শালিকটি।
আরো পড়ুন: চলো পৃথিবীকে সুন্দর করে সাজাই
তারপর চলতে থাকে চলতে থাকে দিন একদিন দ্বিতীয় শালিকটি হঠাৎ নেওলের শিকার হয়। থেকে যায় প্রথম শালিক তার এক চোখ এখন কানা। তারপর তার সাথে বিনিময় অনেক কিছু কথা। আমরা সবাই অনেক সময় পার করি ওকে নিয়ে।
আমাদের মিনি বিড়াল ছানা ও তার সাথে অনেক খেলা করেছে। একদিন তার শরীরের অবস্থা দেখলাম মনে হয় খুব শীত করছে। তাকে রোদে রেখে আসলাম, আমি ছিলাম না বাসায় মা বলল শালিকে বিড়াল ধরে নিয়ে চলে গেছে।
বিড়ালটা মনে হয় অনেক দিনের ক্ষুধার্ত ছিল তাই তাকে ধরে নিয়ে খেয়ে ফেলেছে, তাই বলে কি বিড়াল হত্যা করা যাবে?
এটা তোমার কাছে প্রশ্ন রইল...
যদি ভালো লাগে তাহলে পোষ্টটি শেয়ার করতে পারো। ধন্যবাদ