জীবন আসলেই সুন্দর। সুন্দর জীবনের প্রত্যাশা সকলেই করে।সুন্দর জীবন গঠন পরিবর্তন করতে পারে ভাগ্য। জীবনের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি কেমন হওয়া উচিত তা আমাদের ভাবতে হবে। কিন্তু এটা সত্য প্রত্যাশা ও প্রতিশ্রুতির যোগসূত্র সঠিক হলেই সফলতা আসবে আপনা-আপনি।{getToc} $title={জীবন সুন্দর করার কৌশল}
সময় মানুষকে অনেক কিছু শেখায় খারাপ সময় সারা জীবন থাকে না। প্রতিটি জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিতে প্রয়োজন সঠিক প্রয়োগ ও কৌশল। জীবনের কঠিন সময় আসবে এবং ভালো সময়ও আসবে। সময় যখন খারাপ যায়, তখন সাদা কাপড় থেকেও রং ওঠে, নিজের খারাপ সময়ে কাউকে পাশে পাওয়াটাও বড় মুশকিল। সময় মানুষকে অনেক কিছু শেখায়, সময় অনেক কিছু পরিবর্তন করে।
{alertSuccess}আরো পড়ুন: সাদা লজ্জাবতী গাছ চেনার উপায়
কখনো হারানো কথা মাথায় চিন্তাই করবে না, দেখবে হয়তো জিতেছ নয়তো শিখেছ। তো আর ভাবার কিছু নেই আজ থেকে নতুন জীবন শুরু করো। আমি তোমাকে এমন কৌশল শেখাবো যা সৃষ্টি করবে তোমার এক নতুন নতুন অধ্যায়। তো চলো এবার দেখা কিছু প্রমাণিত নতুন করে জীবন শুরু করার উপায়
জীবন কিভাবে সুন্দর করা যায় তার কিছু কৌশল সমূহ নিম্নরূপ:-
ধর্মচর্চা
জীবনে সফলতার প্রথম পূর্ব শর্ত হলো সৃষ্টিকর্তার উপাসনা করা। জগৎ সংসার সব কিছুর নির্মাতা, তার আনুগত না থাকলে জীবনে তুমি যতই পরিশ্রম করো না কেন তোমার সাফল্য হাত থেকে অনায়াসেই চলে যাবে, তুমি একটু টেরও পাবে না। তোমার যে ধর্ম তুমি সেটা নিয়মিত পালন করো। মানব সেবা করো। আসলে তুমি যদি ধর্মচর্চা তোমার জীবন অতিবাহিত করো তাহলে তোমার জীবন সার্থক। যে তার প্রভুকে রাজি-খুশি করাতে পারে তার নেক আমল দ্বারা তার এই দুনিয়া কিছুই না আর পরকালে সুখ আর সুখ। কেউ যদি তার জীবনে শুধু ধর্মচর্চা মাধ্যমে জীবনকে সাজাতে পারে তাহলে তার জীবন সুন্দর ও সার্থক হবে। এটা প্রমাণিত।
সময়
সময়ের কাজ শুরু হোক সঠিক সময়ে পরিকল্পনা করে। তুমি তোমার সফলতা দ্বারে পৌছাতে হলে সঠিক সময়কে কাজে লাগাও। সময় অমূল্য সম্পদ। এর মূল্য কোন জিনিসের সাথে তুলনা করাই যায় না। যদি তোমার ধন-সম্পদ, মান-সম্মান, স্বাস্থ্য ইত্যাদি হারিয়ে গেলেও তা কোন কোন ভাবে ফিরে পাওয়া যায় কিন্তু সময় এক সেকেন্ডও ফিরে পারে না তাই সময় অতি গুরুত্ব বিষয়। তাই তোমাকে রুটিন করে চলতে হবে। সেজন্য আজই একটা ভালো রুটিন করে ফেলো। দেখবে জীবনটা অতি সহজ ও সুন্দর হয়ে যাবে।
ব্যায়াম/খেলাধুলা
যদি তুমি কোন কাজ না করো অর্থাৎ তুমি যদি ছাত্র হও তাহলে অবশ্যই তোমাকে ব্যায়াম/খেলাধুলা করতে হবে। শরীর চর্চা করলে মন ও দেহ খুব ভালো থাকে। বেশি বয়সে ফিট থাকার চাবিকাঠি খেলাধুলা ও ব্যায়াম। খেলাধুলা সরাসরি আমাদের সুস্বাস্থ্যে ও ভালো স্মৃতিশক্তি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। নিয়মিত ব্যায়াম করার ফলে মানসিক চাপ অনেকাংশেই কমে আসে। সত্যি বলতে ব্যায়াম না করা ধূমপান করার থেকেও অনেক মারাত্মক ক্ষতিকর। কারণ ধূমপান করলে মানুষ রোগাক্রান্ত হয়ে পড়ে এ কথা আমরা সবাই কম-বেশি জানি। তবে ব্যায়াম না করলে তুমি ধূমপান করলে যে রোগে আক্রান্ত হবে তার থেকেও বড় ধরনের রোগাক্রান্ত হয়ে পরতে হবে তোমাকে। একথা বলা যায় কেউই জানেনা। তো তোমরা নিয়মিত ব্যায়াম করবে।
পাঠের অভ্যাস করুণ
বই মানুষের সবচাইতে কাছের সঙ্গী, তাই বই পাঠের অভ্যাস করুণ। প্রতিদিন সকালের কাগজে চোখ বুলিয়েও নিতে পারেন। দেখবেন ভেতরে এক ধরনের উদ্দিপনা জেগে উঠবে। তছাড়াও বিভিন্ন গবেষণা ও সমীক্ষা পড়তে পারেন, এতে আপনার জীবন আরও বেশি সহজ করতে পাড়বেন।
দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক গড়ে তুলুন
যে জিনিসগুলো তোমাকে দমিয়ে রেখেছে সেগুলোর মুখোমুখি হোন। যেসব বিষয় তোমাকে সামনের দিকে এগুতে দিচ্ছে না বা থামিয়ে রাখছে সেগুলোর মুখোমুখি হও, হয়তো মনে হবে বিষয়টি সুখকর নাও হতে পারে। তারপরেও মোকাবেলা করো। দেখবেন শেষ পর্যন্ত সন্তুষ্টিই আসবে।
তোমাদের যে সকল বন্ধুর জীবন গোছানো নয় তুমি এই লেখাটি তার সাথে শেয়ার করতে পারো, তোমার সামন্য উপকারে যদি তার উপকার হয়। তাহলে তার জীবন সার্থক হবে।