খালেদা জিয়ার শিক্ষাগত যোগ্যতা জানার পূর্বে আমরা একটু জেনে নিবো, তার শৈশবকাল। কেননা একজন ব্যক্তি শৈশবকাল থেকে শুরু করে যদি বর্তমান পযর্ন্ত জানা যায় তাহলে সেই ব্যক্তির শিক্ষাগত যোগ্যতা এমনি তার জীবনের সকল কিছু সহজেই আমরা জানতে পারি।
{getToc} $title={খালেদা জিয়া}
তাছাড়া আমরা খালেদা জিয়ার শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে অনেক সময় অনেক কথা শুনা যায়। কেউ কেউ বলেন খালেদা জিয়া এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিলেন কিন্তু পাশ করতে পারেন নি আবার অনেকেই বলেন, অষ্টম শ্রেণি পাশ। বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী তার যেকোন কাজে (যেমন- ব্যক্তিগত কিংবা রাষ্ট্রীয়), শিক্ষাগত যোগ্যতার স্থানে ‘স্বশিক্ষিত’ লিখেন যে কারণে তার শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেন বা জানার কৌতুহল জন্মে।
চলুন আজকে জেনে নেয়া যাক, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শিক্ষাগত যোগ্যতা কতটুকু।
খালেদা জিয়ার শিক্ষাগত যোগ্যতা
উইকিপিডিয়ার মতে, খালেদা খানম পুতুল পাঁচ বছর বয়সে দিনাজপুরের মিশন স্কুলে ভর্তি হন, এরপর তিনি দিনাজপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৬০ সালে ম্যাট্রিকুলেশন সম্পন্ন করেন এবং একই বছর তিনি জিয়াউর রহমানকে বিয়ে করেন। এবং তারপর থেকে তার নামের সাথে জিয়া যুক্ত হয়ে দাড়ায় বেগম খালেদা জিয়া।
আরো পড়ুন: তারেক জিয়ার শিক্ষাগত যোগ্যতা {alertSuccess}
বিভিন্ন মিডিয়াতে তার শিক্ষাগত যোগত্য সম্পর্কে জানা যায়, তার পুরনো বিভিন্ন নথিপত্রে দেখা যায়, বেগম খালেদা জিয়া তার শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণি পাশ বা এইট পাশ হিসেবে উল্ল্যেখ করেছেন। তবে বর্তমানে তিনি নিজেকে "স্বশিক্ষিত" শব্দ দ্বারা নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রকাশ করেন থাকেন। "স্বশিক্ষিত" দ্বারা কি বুঝানো হয়েছে জানতে চাইলে মিস্টার মাসুদ জানান, এই শব্দটিতে তিনি প্রকৃতপক্ষে একেবারেই নতুন। বেগম খালেদা জিয়া হয়তো বা তার শিক্ষাগত যোগ্যতাটি এর দ্বারা "নিজ থেকে জ্ঞান অর্জন" করেছেন এমনটা বুঝাতে পারেন। এতোটুকুই তথ্য অনলাইনে পাওয়া গেছে বেগম খালেদা জিয়ার শিক্ষাগত যোগত্য সম্পর্কে।
খালেদা জিয়ার জন্মস্থান কোথায়? খালেদা জিয়ার পরিচয়
খালেদা জিয়া (আগস্ট ১৫, ১৯৪৫) প্রকৃত নাম খালেদা খানম পুতুল, তিনি দিনাজপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তার আদি পৈতৃকনিবাস ফেনী জেলার ফুলগাজী উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের মজুমদার বাড়ী। তার পিতার নাম জনাব ইস্কান্দর মজুমদার ছিলেন একজন ব্যবসায়ী। মাতা নাম বেগম তৈয়বা মজুমদার ছিলেন একান্তভাবে একজন গৃহিণী। তার বড় ছেলের নাম তারেক জিয়া।
রাজনৈতিক কর্মজীবন
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারে প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত হন ১৯৯১ সালের ১৯ মার্চ বেগম খালেদা জিয়া পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে। ২য় মেয়াদকাল
১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়। যা পরবর্তীতে ৯৬ এর একদলীয় নির্বাচন হিসেবে গণ্য হয়। ৩য় মেয়াদকাল অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে বিএনপি (জামাতে ইসলামী, ইসলামী ঐক্যজোট ও জাতীয় পার্টির সাথে) চারদলীয় ঐক্যজোট গঠন করে। ২০০১ সালের ১ অক্টোবর সংসদ নির্বাচনে চারদলীয় ঐক্যজোট বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারে প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত হন।
বর্তমানে বেগম খালেদা জিয়ার অবস্থান
২ কোটি ১০ লাখ টাকা আত্মসাতের দায়ে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ সালে তার ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড হয়। এরপরই তাকে বন্দী করে পরিত্যক্ত কেন্দ্রীয় কারাগার কাশিমপুরে নিয়ে যাওয়া হয়।
তথ্যসূত্র: উইকিপিডিয়া এবং অন্যান্য তথ্যমূলক ওয়েবসাইট।