টিকটক সেলিব্রেটি হওয়ার উপায় গোপন টিপস্

আমরা যারা টিকটক ব্যবহার করে থাকি, তারা প্রায় একটা কথা বারবার মাথায় ঘুরপাক খায়। কবে আমার ভিডিও ভাইরাল হবে, কবে টিকটক সেলিব্রেটি হব, কবে আমি ফেমাস হব? তো চিন্তার কোনো কারণ নেই আমি আপনাকে টিকটক সেলিব্রেটি হওয়ার উপায় কিছু প্রমাণিত উপায় বলে দিব যাতে করে খুব সহজেই অল্প সময়ে টিকটক ফেমাস বা সেলিব্রেটি হয়ে যাবেন।{getToc} $title={টিকটক ভাইরাল হওয়ার উপায় ও গোপন টিপস্}

টিকটক সেলিব্রেটি হওয়ার উপায়

টিকটক ফেমাস হওয়ার উপায় জানার আগে তোমাকে সবার প্রথমে আমার নিচের টিপস্ এন্ড ট্রিকস্ গুলো ফলো করতে হবে তাহলে আমি ১০০% গ্যারান্টি দিতে পারি আপনি সহজেই টিকটকে সেলিব্রেটি হয়ে যাবেন।

টিকটক সেলিব্রেটি হওয়ার উপায়

ধৈর্য্য ধারণ করা আর নিরলস পরিশ্রম করা

যে কোনো সফলতার পিছনে দেখবেন পরিশ্রম শব্দটি থাকবেই, পরিশ্রম ছাড়া কেউ জীবনে উন্নতি করতে পারে নি। যার আজ বিলিয়ন বিলিয়ন ফলোয়ার আর লাইক সে এই টিকটক একমাস ব্যবহার করে নি সে  এই টিকটক দু’মাস ব্যবহার করেনি, সে এই টিকটক এক বছর বা তারও অধিক সময় এই টিকটকে নিজের দক্ষতাকে কাজে লাগি টিকটকে টিকে ছিল, ধৈর্য্য ধারণ করেছিল, নিরলস পরিশ্রম করেছে বলেই তার ফেমাস হওয়া কেউ আটকাতে পারে নি তার ভাগ্যও সাথে ছিল বলে আর ভাগ্য কখনো আপনা আপনি আসে না ভাগ্য তৈরির করা হয় পরিশ্রম আর প্রার্থনার মাধ্যমে। 

অন্যের ভিডিও কপি না করা

জীবনে কখনো কারো ভিডিও কপি করে হুবুহু আপনার আইডিতে ছাড়বেন না তাতে করে আপনার সৃজনশীলতা নষ্ট হয়ে যাবে, আপনার ফলোয়ার যারা তারা আপনার সম্পর্কে একটা নেগেটিভ মার্ক দিয়ে দিবে তারা বলবে আরে একে লাইক কমেন্ট করলেই কি হবে এ তো অন্যের ভিডিও ছাড়ে তাই আপনার ফলোয়ার আপনাকে আন ফলো করে দিবে কেননা সকলেই কারো কাছে কিছু না কিছু শিখতে চায়, যদি কেউ আপনার থেকে শিখে তাহলে আপনার ফলোয়ারের অভাব থাকবে না।

নিজের ক্রিয়েভিটি দেখানো

আপনি নিশ্চই দেখেছেন, যে একটা ভিডিও যখন ভাইরাল হয় তখন কেবল সেই ভিডিও নিয়ে সমগ্র টিকটকারা কি করে একই ভিডিও বানায়, কেননা তাদের ক্রিয়েভিটির অভাব। যদি আপনার ক্রিয়েভিটি খুব ইউনিক থাকে তাহলে 10 সেকেন্ড এমন ভিডিও বানান যাতে জাতি ক্রাশ খায় আপনার টিকটক ভিডিও দেখে।

নির্দিষ্ট একটা টপিকের উপর ভিডিও বানানো

সব সময় মনে রাখবেন কেউ কিন্তু সকল বিষয়ে পারদর্শি নয়, যদি সকলে সব বিষয়ে অভিজ্ঞ হতো তাহলে এই জগতে কোনো ডাক্তার, ইঞ্জিনার, ল-ইয়ার, শিক্ষক ইত্যাদির দরকার হতো না, যখন যার যেই সমস্যা হতো তাহলে সে নিজের নিজের সমস্যা সমাধান করে ফেলতো। তাই আপনি সব সময় একটা নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর ভিডিও বানাবেন।

ভিডিও এডিটিং খুব ভালো করে শেখা

টিকটকে ভাইরাল হওয়ার প্রথম হাতিয়ার হলো ভালো ভিডিও তৈরী করা, যদি আপনি  একজন ভালো ভিডিও এডিটর না হন তাহলে টিকটক আপনার জন্য নয়। টিকটক ভিডিওতে আপনি যতটা না অভিনয় করবেন তার থেকে বেশি অভিনয় করবে আপনার ভিডিও এডিটিং। কখনো ভিডিওতে স্লো মোশন, কখন ফ্রাস্ট মোশন, কখনো রংবেরঙের টাইটে শো করবে মিউজিকের সাথে বলতে বলে চমৎকার এডিটিং। যদি আপনি চমৎকার এডিটিং জানেন তাহলে আপনি একাই খুব সহজেই খুব দ্রুত ভাইরাল হতে পারবেন।

ভিডিওতে হ্যাস ট্যাগ ব্যবহার করা

ভাইরাল হতে হলে লোকে বলে ভিডিওতে হ্যাস ট্যাগ ব্যবহার করতে হবে আমি এই কথা তে একমত নই, কেননা এই হ্যাস ট্যাগ কেবল কিছু ভিউ দেয় ভাইরাল হওয়ার ক্ষেত্রে তেমন ভূমিকা রাখে না কিন্তু তবুও কিছু ভূমিকা রাখেও তাই হ্যাস ট্যাগ ব্যবহার করুন যে গুলো ভাইরাল হ্যাস ট্যাগ।

ভালো একটা টিকটক প্রোফাইল তৈরী করবেন

আপনার টিকটক আইডিটির প্রোফাইল এমন সুন্দর ভাবে উপস্থাপনা করবেন যাতে করে প্রোফাইলে ডুকার সাথে সাথেই সে আপনার ফ্যান হয়ে যায়।
আপনি আরো পড়ুন: মোবাইল দিয়ে ছবি সহ টিকটক আইডি খোলার নিয়ম {alertSuccess}

ভিডিওতে ক্লাসিসিজম করা

ক্লাসিসিজম বলতে অন্যের অভিনয় কপি করে তা একটু পরিবর্তন করে দেয়া। সেটা হতে পারে ভাষার পরিবর্তন করা, পোষাক পরিবর্তন করা অর্থাৎ হুবহু নকল না করে অন্যের কথা একটু ভিন্ন ভাবে বলা।

প্রচুর শেয়ার করা

শেয়ার করুন, শেয়ার করুন, শেয়ার করুন, শেয়ার করুন, শেয়ার করুন এই কথাটির অর্থ এই যে খুব বেশি বেশি ফেসবুকে বিভিন্ন গ্রুপে, পেজে শেয়ার করুন, প্রয়োজন পড়লে শেয়ারের জন্য কিছু টাকা ব্যয় করুন। আর যদি অরগানিক চান তাহলে অপেক্ষা করতে হবে।

অন্যের ভিডিওতে লাইক, কমেন্ট ও ফলো করা

অন্যের ভিডিও লাইক, কমেন্ট ও ফলো করুন যাতে করে তারাও আপনার ক্ষেত্রেই এমন আচরণ করবে এমন খুব টিকটকে খুব বেশিই পাওয়া যায়। তাই এই সুযোগ মিস করবেন না। অনেকেই এই নীতি গ্রহণ করে থাকে ফলো দিবেন ফলো পাবেন, লাইক দিবেন লাইক পাবেন। আসলে এটা ঠিক নয়। একজন কে ফলো দিলেই যে আপনার লক্ষ টাকার ক্ষয়ে যাতে এমনটা নয়। সর্বদায় একজন আরেক জনের পাশে থাকবেন এটাই মানুষের ধর্ম কখনো অহংকার করবেন না।

আপনার টিকটক আইডিকে একটা ব্র্যান্ড আকারে উপস্থাপনা করা

আপনার টিকটক আইডিকে ব্র্যান্ড বানান যা এক ও অদ্বিতীয়। যেমনটা আপনারা গুগল কে দেখে থাকেন বা টিকটককে। আপনি কি কখনো দ্বিতীয় টিকটক কোম্পানি দেখেছেন নিশ্চই না ঠিক তেমনি আপনি আপনাকে ব্র্যান্ড তৈরী করুন। 

আই কন্ট্রাক্ট কালার ব্যবহার করা

ভিডিওতে  এমন ভাবে কালার এবং ডাইলগ দিবেন যাতে চৌম্বকের মতন কাজ করে। আর চৌম্বকের যে কি গুণ সেটা কেই বা না জানে।

এমন মিউজিক ব্যবহার করা যা শুনলেই মন জুড়িয়ে যায়

আপনারা সবসময় নিজে অডিও দিয়ে ভিডিও বানানোর চেষ্টা করুন, দেখবেন আপনারই অডিও দিয়ে অন্যেরা টিকটক বানাছে তাতে আপনার ফলোয়ার আরো বেড়ে যাবে সাথে লাইক কমেন্ট তো বোনাস।

পারলে টিম আকারে কাজ করা

টিমাকারে কাজ করলে আপনি অতি অল্প সময়ে ভিডিও বানাতে পারবেন সাথে অনেক সার্পোটও পাবেন। যা একা কখনো সম্ভব নয়। কথায় আছে না, দশে মিলে করি কাজ নাহি জিতি নাহি লাজ।

প্ল্যান আকারে কাজ করা

সর্বদায় প্ল্যান আকারে কাজ করুন যেমনটা আমরা ছাত্র জীবনে রুটিন মেনে চলি, কখন কি করব, কখন কি পড়ব, কখন গোছল করব ইত্যাদি। আর প্রতিদিন একঘণ্টা সময় নিন যাতে করে ভিডিও জন্য নতুন নতুন আইডিয়া পাবেন।

নির্দিষ্ট সময়ে ভিডিও ধারণ করা

প্রকৃতি সর্বদায়  এক থাকে না যেমনটা বলতে পারেন মানুষের মন যেমন সব সময় ঠিক থাকে না ঠিক তেমনি প্রকৃতিও সব সময় ঠিক থাকে না ক্যামেরাতে ভিডিও সুন্দরও হয় তাই সকাল কিংবা বিকেল কিংবা ছায়াতে ভিডিও বানান।

অনলাইনে ফ্রেন্ড তৈরী করা

অনলাইনে প্রচুন বন্ধু তৈরী করুন যাতে তারা আপনার ভিডিও লাইক করে আর প্রচুর শেয়ার করে।

টিকটকে এক্টিভ থাকা

টিকটকে একটিভ থাকাটা বিশেষ জরুরি কেননা আপনি যদি সব সময় লাইনে থাকেন তাহলে আপনার ফলোয়াররা আপনার সাথে চ্যাট, কমেন্টে যুক্ত থাকবে তাতে করে সকল ফলোয়ার এর সাথে একটা বন্ধুত্ব তৈরী হবে।

প্রতিটা কমেন্ট রিপ্লে দেয়া

কমেন্ট রিপ্লে বা উত্তর দিবেন তাতে করে আপনার ফলোয়াররা আপনাকে খুব কেয়ার করবে তারা বলবে যাই হওক সে আমাকে রিপ্লে বা উত্তর দিয়েছে।

প্রতিদিন ঠিক সময়ে ভিডিও পোষ্ট করা

আপনি দেখবেন আপনার টিকটক ফলোয়াররা কখন লাইনে থাকে তা আপনি টিকটক এনালাইটিক্স এর মাধ্যমে দেখেতে পারবেন এবং ঠিক সেই মুহূর্তে ভিডিও আপলোড দিবেন তাতে করে আপনি একটা ফিডব্যাক পাবেন, আপনার ফলোয়ারদের সম্পর্কে।

পারলে একটা মেয়ে বা ছেলে বন্ধুকে নিয়ে টিকটক করুন

বর্তমান সময়ে মানুষ বিনোদনের মধ্যে রোমান্টিক একটা অংশ। তা যদি হয় ভালোবাসার। আপনার যদি একজন মেয়ে বা ছেলে বন্ধু থাকে তাহলে আপনি অল্প সময়ে অনেক ফলোয়ার পেয়ে যাবেন।

সর্বপরি এই টুকু বলতে চাই, পরিশ্রম করবেন জীবনে ব্যর্থ হবেন না আপনার ফল আসবেই আসবে এতে আমি নিশ্চিত। তো আপনি পোষ্টটি পড়ে কি বুঝেন নি তা কমেন্টে জানাতে পারবেন। আমি তাড়াতাড়ি সমাধান করে দিব।

TheSundor

প্রিয় পাঠকবৃন্দ দি সুন্দর এর পক্ষ থেকে আপনাকে জানাই শুভেচ্ছা এবং সালাম আসসালামু আলাইকুম। নতুন নতুন তথ্যবহুল ও মজার তথ্য পেতে দি সুন্দরের সাথেই থাকুন। youtube linkedin instagram facebook twitter pinterest

Post a Comment

Previous Post Next Post