এই পোষ্টে আমরা বিভিন্ন ধরণের ছেলেদের সম্পর্কে জানব যে তারা ছেলেরা মেয়েদের কোন জিনিস বেশি পছন্দ করে? যে সকল পয়েন্ট তুলে ধরব সেগুলো মধ্যে যদি আপনার একটা পয়েন্টও থাকে তাহলে নিশ্চিত সেই ধরনের ছেলে আপনাকে পছন্দ করবে।
তো চলুন এই পয়েন্ট গুলো পড়া যাক। তাই পোষ্টটা হয়তো একটু লম্বা হবে। একটু মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
{getToc} $title={ছেলেরা মেয়েদের কোন জিনিস বেশি পছন্দ করে বিস্তারিত আলোচনা}যে সকল মেয়ে স্কুল-কলেজে পড়ে তাদের বেশির ভাগ ছেলেরা পছন্দ করে তার রূপ-হাসি-চাঞ্চতলার কারণে।
ছেলেরা মেয়েদের কোন জিনিস বেশি পছন্দ করে
মায়া চেহারা
যে সকল ছেলেদের মন একদম নরম ও কোমল তারাই মূলত যে সকল নারীদের চেহারায় মায়া মায়া ভাব আছে তাদেরকে হৃদয়ে বেশি স্থান দেয়। হোক না তারা চেহারায় কালো, শ্যামলা বা সুন্দর। মায়া কিন্তু একধরনের স্বর্গীয় মায়া।
যে সকল ছেলে মেয়েদের মায়ার বাঁধনে আটকে যায় তারা কখনো সেই মেয়েকে হেলা করে না। বরং জীবনের সর্ব সময় পাশে থাকে। মায়া অধীকারী মেয়েদের মুখে নয় বরং ছেলেদেরও রয়েছে।
সুন্দর ফেসকাটিং
আমরা সকলেই হয় এই বিষয়ে অবগত যে, ত্বক সুন্দর হলেই যে কোনো নারী বা পুরুষ সুন্দর ফেসকাটিং এর অধিকারি হবে এমন টা নয়। কিছু এমন সুন্দর বর্ণে ছেলে-মেয়ে আছে তাদের ত্বক ভারি সুন্দর কিন্তু ফেসকাটিং মোটেও সুবিধার না।
এটা কিন্তু সৃষ্টিকর্তার দান। যাদের সুন্দর ফেসকাটিং নেই তারা তাদের সুন্দর ব্যবহারে যে কেউ কে বশ করতে পারেন কোনো প্রকার তাবিস কবস ছাড়াই।
হিজাব পড়া
বর্তমান সময়ে ছেলেরা হিজাব পড়া মেয়েদের বেশি পছন্দ করছে। কেন না তারা জানে যে সকল মেয়ে হিজাব পরিধান করে তারা খুবই ভালো মেয়ে। তারা সব সময় সৃষ্টিকর্তার দেয়া সকল নিয়ামতকে গ্রহণ করে। এক কথায় খুবই ভালো মেয়ে।
একজন হিজাব পরিধান কারী নারীর চেহারা যেমনই হোক না কেন সকল পুরুষই তাকে পছন্দ করবে যদি তার মাঝে দ্বীন থাকে।
চাকরিজীবি
এই দেশে একশ্রেণীর পুরুষ আছে যারা চাকরিজীবি নারীদের পছন্দ করে যাতে করে স্বামী-স্ত্রী একত্রে সংসারে হাল টানে। কিছু পুরুষ আছে মেয়ের যেমন চেহারা থাকুক না কেন তার কেবল একটা চাকরিওয়ালা বউ লাগবে।
যাতে তার রোজগার করতে না হয় বা কম রোজগার করলেও চলবে। এই ধরণের ছেলেরা মূলত নির্ভরশীল।
চঞ্চল বা চাঞ্চলতা বহিঃপ্রকাশ
যে কোনো ছেলেই একটা মেয়ের চঞ্চলতা দেখে প্রেমে পড়তে পারে। এখানে চেহারা কোনো বিষয় নয়। চাঞ্চলতা কিন্তু সুন্দর চেহারা অধিকারী মেয়েকেও হার মানাতে পারে। তাই সব সময় নিজের মধ্য চাঞ্চলতা রাখুন।
বুদ্ধিমান মেয়ে
আবার দেখা যায়, বুদ্ধিমান মেয়েকে অনেক ছেলেই পছন্দ করে। কেন না একজন বুদ্ধিমান মেয়ে পারে একটা পরিকল্পিত সংসার কে এগিয়ে নিয়ে। বিপদে বুদ্ধিমত্তাই বুদ্ধিমান ব্যক্তির পরিচয়।
শালীন ব্যবহার
নম্র, ভদ্র ও শালী আচরণের মেয়েদের কে না ভালোবাসে। সব সময় তার কাছের মানুষের সাথে সদ্বব্যবহার করা, কারো দেখার পূর্বে সালাম দেয়া। বেশি অহেতু কথা না বলা। কেবল স্বামী বা প্রিয়জনের কথা শোনা ও তার প্রশংসা করা তবে বেমি প্রশংসা নয় কিন্তু।
সহমত প্রকাশ
আপনার যদি কোনো ছেলে পছন্দ হয় তাহলে তার কথায় কথায় সহমত প্রকাশ করুন। মানুষকে আপন করতে চাইলে সহমত কিন্তু আলাদা একটা পূর্ব শর্ত।
অপূর্ব হাসি
মুখের হাসিও কিন্তু ছেলেদের বেশি পছন্দ। ভালোবাসার পূর্ব শর্ত হল হাসি মাখা মিষ্টি আদরে মুখ। তাই কোনো ছেলেকে প্রিয় করতে চাইলে তার সামনে প্রাণ খুলে হাসুন। আর মাঝে মাঝে ছোট ছোট অভিমান করুন। দেখতে পারবে অভিমানই বলে দিবে সে কি আপনাকে পছন্দ করে কিনা।
মিষ্টি ভয়েজ
একটা মেয়ের মিষ্টি ভয়েজও কিন্তু একটা ছেলের পছন্দ হতে পারে। মিষ্টি ভয়েট টা উপরওয়ালার দান এখানে কারো হাত নেই ভয়েজ পরিবর্তন করার তবে এমন স্টাইলে কথা বলুন যাতে মুখ থেকে মু্ক্ত দারার মতো মিষ্টি ঝরে।
বিশেষ গুণাবলি
প্রত্যেকটা মানুষের মাঝে কিন্তু একটা বিশেষ গুণ বিদ্যমান। আমার দীর্ঘ বিশ্বাস তেমনগুণাবলি হয়তো আপনার মাঝে আছে। তা খুঁজে বের করুন আর সেটার প্রয়োগ করুন।
সুন্দর রূপ
বর্তমানে বেশিরভাগ ছেলেই অর্থাৎ ৮০% ছেলেই মেয়েদেরে চেহারা দেখেই পাগল হয়ে যায়। যদি তার ভালো ফেস ভালো ফিগার থাগে বলাই লাগে না।
সবাই বেশি পাগল হয়ে যায় তার কাছের মানুষ হতে। কিন্তু ছেলেরা শুধু মেয়েদের সুন্দর রূপ দেখে পাগল হলেই হবে না তার মাঝে উপরোক্ত গুণাবলি থাকতে হবে।
কেন না বেশিরভাগ সুন্দর মেয়ে খারাপ থাকে। এই সুন্দর মেয়েদের ছেলেরা কেবল ব্যবহার করে কখনো জীবন সঙ্গী হিসেবে নিজেদের বেশি দূর এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে না।
তাদের যেই ছেলে ভালো লাগে তার সাথে লাইন মারে। তাই যারা একটু ফর্সা কিংবা কালো আছেন তারা এই সুন্দরীদের নেগেটিভ পয়েন্টটা ব্যবহার করতে পারেন।
ভালো স্বাস্থ্য
স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। কথা যেমন সত্য তেমনি উপকারী। যে সকল মেয়েদের ফিটনেস ভালো সেই মেয়ে ফের্সা কিংবা কালো থাক তার প্রেমে যে কোনো ছেলে পাগল হবেই।
অর্থ-কুড়ি
কিছু লোভী টাইপের ছেলে আছে যারা অর্থ-কুড়ির নেশায় যে কোনো মেয়েকে বিবাহ করতে রাজী থাকে। তাই আর এই বিষয়ে কিছু বললাম না।
সেলিব্রেটি মেয়ে
সেলিব্রেটি মেয়েদের প্রতি ছেলেরা একটু দুর্বল বললেই চলে। তবে সেসকল ছেলেরা জানে না যে, তাদের সেলিব্রেটি কণ্যা তাকে ছেড়ে অন্য একটা ছেলেকে নিয়ে কেটে পড়বে।
এটাই বাস্তব। সেলিব্রেটি মেয়েরা দুই দিন পর পর নাগর পরিবর্তন করে যদি সেই ছেলের সাথে সামান্য ঝগড়া হয়। বলতে গেলে সেলিব্রেটি মেয়ে জীবনে কখনোই প্রকৃত সুখ পায় না।
শেষ কথা
তাই নিজেকে এমন ভাবে উপস্থাপনা করুন, যাতে করে আপনাকে যে ছেলে একবার সঙ্গ দিবে তার সাথে এমন ভাবে থাকুন যেন সে বুঝতেই পারেনা যে আপনি তার প্রতি অনেক দুর্বল।
সব কিছু ভারসাম্য বজায় রেখে কাজ করুন। তাই নিজেকে অর্ধাঙ্গী হিসেবে ভাবুন। মনে হয় এই পোষ্ট করে কিছুটা উপকৃত হবেন। যদি কোনো সমস্যা থাকে তাহলে কমেন্ট করে বলতে পারেন।
Tags:
other